দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক সফল চেয়ারম্যান এবং বর্ষীয়ান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রায় শতবর্ষী ডাঃ বাবু গোবিন্দ চন্দ্র রায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বসবাস করছেন একটি জরাজীর্ণ ঘরে। তিনি আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হওয়ায় শেষ ইচ্ছে হিসেবে বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দু’মিনিট মুঠোফোনে কিংবা ভিডিও কলে কথা বলতে চান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র রায় ১৯২৭ সালে খানসামা উপজেলার গুলিয়ারা গ্রামের বানিয়া পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মৃত নরেন্দ্র নাথ রায় (মুহুরী) ও মা মৃত গৌর মণি। ১৯৫৭ সালে বগুড়া প্যারামেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে বাড়িতে এসে কাচিনীয়া বাজারে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকুরি করেন। এরপর প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে কাচিনীয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য তিনি কাচিনীয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বর্তমান পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত খানসামা উপজেলার ভাবকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সফলতার সাথে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর সততার ঘটনাগুলো আজও মানুষের মুখে মুখে রয়েছে। তিনবার চেয়ারম্যান হয়ে তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এখন তাঁর ৯৫ বছর বয়স। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। জরাজীর্ণ একটি ঘরে তিনি বসবাস করছেন। তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। সন্তানদের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। তারপরও সন্তানদের উপার্জনে বৃদ্ধ বয়সের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্ত্রী নিয়ে জীবযাপন করছেন।

ডাঃ বাবু গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি।নিজের জন্য অট্টালিকা কিংবা সম্পদ গড়ার চিন্তাভাবনা কখনোই আমার মাঝে কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধুর সাথে হাত মেলানোর সুযোগ হয়েছিল। দিনাজপুরের সাবেক সাংসদ ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এম. আঃ রহিম ও আঃ রউফের সাথে একসাথে রাজনীতি করেছি। তবে কখনো কারো কাছে হাত পাতি নি। শুধু শেষ জীবনের একটাই ইচ্ছা আমাদের বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার সাথে দু’মিনিট কথা বলতে চাই। কথা বলতে পারলে রাজনৈতিক জীবন সার্থক হবে।